অবসর সময়ে বাড়তি আয়ের উৎস সৃষ্টির সাত উপায় -
অবসর সময়ে বাড়তি আয়

অবসর সময়ে বাড়তি আয়ের উৎস সৃষ্টির সাত উপায় -


আমরা জানি, টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না তা ঠিক।  কিন্তু অন্তত বেঁচে থাকা এবং জীবনে সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অর্থের প্রয়োজন আছে।

যে কোনো একটি পেশা বা চাকরিতে পাওয়া অর্থ দিয়ে আজকাল অনেকেরই সমৃদ্ধি কাছ থেকে দূরে থাকে, ভালোভাবে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে উঠে। ফলে তাদেরকে খুঁজতে হচ্ছে বাড়তি আয়ের পথ। তাই আজকে আপনাদের জন্য এমন ৭টি বাড়তি আয়ের আইডিয়া শেয়ার করবো।

নিচে বাড়তি আয়ের কিছু ধারণা দেওয়া হলো যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে :


১। শুরু করতে পারেন ব্লগ :

আপনি খুব সহজে ব্লগিং করতে পারেন, ব্লগ শুরুর জন্য মোটা অংকের অর্থের প্রয়োজন হয় না, অথচ অর্জন করা যায় দীর্ঘমেয়াদি মুনাফা। আপনি এমন একটি জায়গা নির্ধারণ করুন যেখানে কাজ শুরু করতে পারেন। এরপর প্রস্তুত করুন বিষয়ভিত্তিক লেখা এবং প্রাসঙ্গিক আকর্ষণীয় ভিডিও। প্রথমে একটু সময় লাগতে পারে। তবে একসময় আপনি বেশ কিছু ফলোয়ার পেয়ে যাবেন। এটি বাড়তি আয়ের একটি ভালো উপায় হতে পারে।

২। স্মার্ট বিনিয়োগ!

আপনার ব্যাংক একাউন্টে যতই অর্থ সঞ্চিত থাকুক না কেন, সেখান থেকে কিন্তু আপনি প্রয়োজনীয় ইন্টারেস্ট পাবেন না। সুতরাং, প্রয়োজনীয় ইন্টারেস্ট পেতে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে বাইরে। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো অর্থ উপদেষ্টার পরামর্শ নিতে পারেন, অনলাইনে খুঁজতে পারেন বিনিয়োগের জায়গা। এটি মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার, এসআইপি (সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান) বা অন্য কোনো স্কিম হতে পারে যেখানে ঝুঁকি কম।

৩। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ :

বাজারের পরিস্থিতি এবং আপনার আর্থিক অবস্থা অনুসারে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে আপনি ভালো আয় করতে পারেন। নিজের সম্পত্তি ভাড়া দিতে পারেন, সম্পত্তি কিনে সুবিধাজনক সময় আরো ভালো দামে তা বিক্রি করতে পারেন। তবে এ ব্যবসায় আসার আগে বিষয়টি ভালো করে বুঝতে হবে, জানতে হবে এতে কী কী ঝুঁকি রয়েছে। এখানে আপনাকে দ্রুত উপার্জনের চিন্তা বাদ দিয়ে আগে প্রস্তুতিটা নিতে হবে সময় নিয়ে।

৪। গাড়ি সঙ্গে বিজ্ঞাপন :

এই ধারণাটি এখনো সারা দেশে খুব একটা জনপ্রিয় নয়। তবে এটি বাড়তি আয়ের একটি চমৎকার বিকল্প। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো গাড়ি বিজ্ঞাপনের এজেন্সিতে (সরাসরি অথবা ওয়েবসাইট) যোগাযোগ করতে হবে। এ সম্পর্কিত চুক্তির গ্রহণযোগ্য শর্তাদি জানতে হবে। আপনি গাড়িটি আপনার কাজেই ব্যবহার করবেন। কেবল এর গায়ে কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন থাকবে।

৫। ফ্রিল্যান্সিং কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসা :

আপনার যদি লেখালেখির হাত থাকে তবে শুরু করতে পারেন কোনো ফ্রিল্যান্স প্রকল্প। যদি থাকে শিল্পচর্চা তবে ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন বাহারি নকশার মোমবাতি, গহনা, চকোলেট বা অনুরূপ কিছু।  আপনার দৈনিক সময়সূচি থেকে অতিরিক্ত কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। তৈরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন অনলাইনে।

৬। শুরু করতে পারেন কারপুল :

নিজের ব্যবহৃত গাড়িটি দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন কারপুল অর্থাৎ গাড়িটি অন্য কোথাও ভাড়া দেওয়া। যে রুটে আপনি প্রতিদিন অফিস কিংবা কর্মস্থলে যান ওই রুটে গাড়িতে তুলে নিতে পারেন কয়েকজন একই রুটের যাত্রী। এ জন্য আপনার বাড়তি বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই অথচ আসবে বাড়তি আয়। 

৭। অভিজ্ঞতা বিনিময় :

আপনার যদি বিশেষ কোনো বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা বা পড়াশুনা থাকে তবে কলেজগুলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিতে পারেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে সহায়তায় চালু করতে পারেন শিক্ষাদান পরিষেবা বা কোর্স। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এসবেরও রয়েছে ভালো চাহিদা। 

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া