 |
| কোচিং বাণিজ্য আর নয় |
কোচিং বাণিজ্য আর নয়, কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রীর -
এটা সত্যি ছাত্র ছাত্রীদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। কেন নয়? বর্তমান ছাত্র ছাত্রীদের বৈশিষ্ট্য নষ্ট করে ফেলেছে একমাত্র কোচিং ব্যবসা। কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ প্রশ্নফাঁসরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ ও শিক্ষা প্রশাসন আরও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের আট উইং প্রধানদের সঙ্গে সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা দেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, নতুন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার প্রথমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উইং প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। উক্ত বৈঠকে উইং প্রধানরা গত ১০ বছরের সব অর্জন ও সফলতা তুলে ধরেন। এর সঙ্গে বিদ্যমান সমস্যাগুলোও উল্লেখ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে। উক্ত সভায় সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয় শাখা, কলেজ শাখার দুই শাখা, বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন, প্রশাসন, পরিকল্পনা উইং প্রধান ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা বিশ্বাস করি, তাই বিগত দিনে শিক্ষাখাতে সব উন্নয়নে যে ধারা ছিল তা বজায় রাখা হবে বলে জানান। বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তার পাশাপাশি আমাদের দায়িত্ববোধ সর্ম্পকে অবগত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান।
কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এ বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে । বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ফরমপূরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছে, এমন অপকর্মের অবসান ঘটবে। দ্রুত এটি বন্ধ করতে নতুন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা খাত পরিচালনায় শিক্ষা প্রশাসন আরও কার্যকর করা, কোচিং বাণিজ্যের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি দীর্ঘদিন আটকে থাকা শিক্ষা আইন পাসের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এসব শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন হলে বিদ্যমান অনেক সমস্যা দূরীকরণ করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন উইং প্রধানরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসসহ বর্তমান সঙ্কটগুলো নিয়েও আলোচনায় আনা হয়েছে।
দ্রুত এসব সমস্যা দূর করে শিক্ষা প্রশাসনকে আরও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।সচিব বলেন, আমাদের সন্তানদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম পরিবর্তনের আলোচনা হয়েছে। তাই নতুন কারিকুলাম তৈরির জন্য বলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতের নামে যে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এটিকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কীভাবে আনা সম্ভব হয় সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
সবশেষে বলি,
0 Comments